ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। এদিকে ভূমিকম্পে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো। তবে সঠিক সংখ্যা কত এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
আল জাজিরা জানায়, হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। শনিবার (১৪ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
ইউএসজিএস জানায়, হাইতির পেটিট ট্রু দে নিপ্পস শহর থেকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ৮ কিলোমিটার দূরে ছিল। এছাড়া রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে। অন্যদিকে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) থেকে জানানো হয়, এই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
প্রথমে ওই ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করেনি যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা বিভাগ। পরে সুনামি সতর্কতা জারি করেন তারা।
হাইতির জনসুরক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান জেরি চান্ডার জানান, আমি নিশ্চিত হয়েছি বহু মানুষ মারা গেছে। তবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ভূকম্পন কেন্দ্রে এক বাসিন্দা ক্রিস্টেলা সেইন্ট হিলারি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, বহু বাড়ি ঘর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেক মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় সবাই ঘরবাড়ি ছেড়ে এখন রাস্তায় অবস্থান করছে।
এদিকে রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের স্থানীয় এক সাংবাদিক এবং চিত্র পরিচালক জেরেমি ডুপিন আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, রাজধানী থেকে ভূকম্পন কেন্দ্র চার ঘণ্টার দূরে হলেও কিছু জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে ভূকম্পন এলাকায় জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাবে। বর্তমানে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে এলাকাগুলো।
তিনি আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ফুটেজে পাওয়া যাচ্ছে মানুষ ধংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে। তবে ঠিক কখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম পৌঁছাবে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে খুবই খারাপ মুহূর্ত এখানে।
এদিকে ১১ বছর আগে ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে হাইতিতে প্রায় ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া প্রায় ৩ লাখ মানুষ ওই ভূমিকম্পে আহত হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।