হাঁস পালন করেই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন দরিদ্র বাবুল

দৃঢ় মনোবল, কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হাঁস পালন করে ভাগ্য বদল করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের কিসমত তেয়ারীগাঁও এলাকার অল্প শিক্ষিত-দরিদ্র বাবুল ইসলাম।

বর্তমানে তার সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে প্রতিমাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় থাকে বলে তিনি জানিয়েছেন।

জানা যায়, অভাবের তাড়নায় পেটের দায়ে বাবুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ এলাকায় হাঁস-মুরগির একটি খামারে দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন।

সেখানকার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজ এলাকায় হাঁসের খামার শুরু করেন । বর্তমানে তার খামারে প্রায় চারশত বিভিন্ন জাতের হাঁস রয়েছে। ইতোমধ্যেই তিনি একজন সফল হাঁস খামারি হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ।

বাবুল বলেন, হাঁস পালন করেই সংসার চলছে। খামার থেকে অর্জিত আয় দিয়ে এখন ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা, সংসারের খরচ সবই চলছে। আগামীতে খামারটি আরও বড় করার ইচ্ছে রয়েছে।

খাল বিল জমি ও জলাশয়ে পানি থাকলে খবারও কম লাগে। পাশাপাশি অনেক টাকা ও বেঁচে যায়। কিন্তু পানি না থাকলে অনেকটা সময় বাড়িতে লালন পালন করতে হয়। খাবারও বেশি লাগে। হাসঁ খামার করা সহজ কাজ হলে এতে অনেক ঝুঁকিও রয়েছে। কারণ খামারে মরক লাগতে পারে। তবে সচেতন থাকলে ঝুঁকি এড়িয়ে ভাল মুনাফা করা যায়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে খামারে খাকি ক্যাম্বেল জাতের হাঁস আছে। কী ক্যাম্বেল জাতের হাঁস ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত নিয়মিত ডিম দেয় ও পরে আস্তে আস্তে ডিম দেয়া কমতে থাকে। ডিম ও হাঁস বিক্রি করে প্রতি মাসে খামার থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয়। তার দেখাদেখি এলাকার অনেক দরিদ্র পরিবার হাঁস পালনের মধ্য দিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.