রোজায় ঠাণ্ডা না গরম, কোন দুধ খাওয়া বেশি উপকারী

বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকায় দুধকে আদর্শ খাবার বলা হয়। বলা চলে, শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাবারের মধ্যে দুধ অন্যতম। অনেকেই নিয়মিত দুধ না খেলেও রমজান মাসে প্রায় সবার ঘরেই দুধ থাকে। মূলত সারাদিন অনাহারে থেকে রোজা রাখার শক্তি যোগাতে অনেকেই সেহরিতে দুধ খেয়ে থাকেন।

দুধের পুষ্টিগুণ-গরুর দুধের কম্পজিশনে পানি ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ল্যাকটোজ ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, ফ্যাট ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রোটিন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। গরুর দুধ সব পুষ্টির আধার ও শক্তির উৎস।

দুধ কেউ গরম খেতে ভালোবাসেন, কারও বা ঠাণ্ডা দুধ পছন্দ। দুধ ঠাণ্ডা বা গরম যেভাবেই খান না কেন তাতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে কার জন্য কোনটা উপকারী সেটা বুঝেই দুধ ঠাণ্ডা বা গরম খাওয়া উচিত। চলুন তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-

#ঠাণ্ডা দুধ স্থূলতা কমায়।#হজমশক্তি বাড়াতে গরম দুধের প্রয়োজন।#ঘুমের সমস্যা থাকলে অবশ্য ঠাণ্ডা নয়, গরম দুধ খাওয়া উচিত।#ঠাণ্ডা দুধ শুধুমাত্র সকালেই খাওয়া যেতে পারে। রাতে ঠাণ্ডা দুধ খেলে তা হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।

#দোকানে যেসব প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া তা পাস্তপরাইজ করার জন্য নানা রাসায়নিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এই দুধ গরম করেই খেতে হয়।

#তবে টেট্রা প্যাকের দুধ ঠাণ্ডা অবস্থাতেও খাওয়া যেতে পারে। কারণ এই দুধ অতটা রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে না যাওয়ায় এর মধ্যের পুষ্টিগুণ বেশি মাত্রায় বজায় থাকে।

#ঠাণ্ডা দুধ খাওয়ার আরেকটি ভালো দিক হলো এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠাণ্ডা দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেশি ক্যালরি পোড়ে।#তবে শীতকাল এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা দুধ না খাওয়াই ভালো। এই সময় ঠাণ্ডা দুধ খেলে সর্দি-কাশি হতে পারে।

#দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের ঠাণ্ডা দুধ এড়ানো দরকার। ঠাণ্ডা দুধ তুলনামুলকভাবে ভারী, হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকায় এটি সহজে হজম হয়।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.