পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম দিন সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা পেসার। সারাদিনে ভারতের তিনটিমাত্র উইকেট পড়েছে। সেই তিনটিই জমা পড়েছে তাঁর ঝুলিতে।
১৭ ওভার বল করে ৪টি মেডেন-সহ মাত্র ৪৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ময়ঙ্ক অগ্রবাল, চেতেশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহিলর উইকেট। তবু দিনের শেষে সুবিধাজনক জায়গায় ভারত। ২৭২ রান তুলে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। ক্রিজে জমে গিয়েছেন কে এল রাহুল ও অজিঙ্ক রাহানে। রাহুলের সেঞ্চুরি সারা। রাহানে হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায়।
প্রথম দিনের শেষে ভারতের পাল্লা কি তবে ভারি? এবিপি লাইভের প্রশ্নটা শুনেই যেন চোখমুখ বদলে গেল লুনগি এনগিডির। সেঞ্চুরিয়ন থেকে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে প্রোটিয়া পেসার বললেন, ‘এটা টেস্ট ক্রিকেট।
কোনও সেশন তুমি জিতবে, কোনও সেশন হারবে। আজ ম্যাচের কয়েকটা সময় আমরা দাপট দেখিয়েছি। তারপর ভারত ম্যাচে ফিরেছে। সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ভাল একটা দিন গিয়েছে।’
শুনে বোঝা গেল, ভারতীয় ব্যাটারদের শাসন কতটা চাপে রেখেছে প্রোটিয়া শিবিরকে। হবে না-ই বা কেন। এই দেশে যে বরাবর নাকানিচোবানি খেয়েছে ভারতীয় ব্যাটিং। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কোনওদিনও টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরতে পারেনি ভারত।
আর সেই দেশে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন নাকি নিয়ন্ত্রণ করবে ভারতীয় ব্যাটাররা। এনগিডির অহংয়ে ধাক্কা লাগবে স্বাভাবিক। তাই ঠাণ্ডা গলায় ভারতের উদ্দেশে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখছেন দক্ষিণ আফ্রিকা পেসার।
এবিপি লাইভকে বললেন, ‘এখনও ম্যাচের অনেক বাকি। আমরা দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েছি। বল নড়াচড়া করছে। আমাদের কাল সকালে ভাল খেলতে হবে। ম্যাচের মোড় দ্রুত ঘুরে যেতে পারে। দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিতে পারলে কে বলতে পারে এখান থেকেও ম্যাচ সম্পূর্ণ পাল্টে গেল না!’
এখানেই থেমে থাকেননি এনগিডি। যেন কথাতেই ‘চিন মিউজিক’ শুনিয়ে রাখলেন। বললেন, ‘সকালে আমরা দ্রুত গোটা দুয়েক উইকেট তুলে নিতে পারলে ম্যাচ পুরো ঘুরে যাবে। ওরা ভাল ব্যাট করেছে। তার কৃতিত্ব দিতে হবে।
রাহুল ভাল খেলেছে। আলগা বলে বাউন্ডারি মেরেছে। সেঞ্চুরি করেছে। তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ও ভাল খেলেছে। কিন্তু ওরও দুটো খোঁচা স্লিপ কর্ডনের দিকে গিয়েছিল। কালকে একটা দারুণ দিন অপেক্ষা করে রয়েছে।’