আফগানিস্তানে ইসলামী ইমারাত বা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ তালিকায় চীন ও রাশিয়ার মতো পরা’শক্তি’গুলো ছাড়াও রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও তু’রস্কের নাম। জানা গেছে, এই দেশগুলো এরইমধ্যে তালেবানকে স্বী’কৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি
শুরু করেছে। এক প্রতি’বেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্ত”রাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, দেশ’টির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তালেবানকে স্বী’কৃতি দিতে পারে। রুশ
প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রে’মলিন থেকে বলা হয়েছে, কাবুল থেকে রাশিয়ার দূতাবাস সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। রাশিয়ার সরকারি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, তালেবানের পক্ষ থেকে রাশিয়ার কূট’নৈতিক মিশনের
কর্মীদের নিরা”পত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র সু”হাইল শাহিন সংবাদমাধ্যম এপি-কে বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে তার দলের সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া রাশিয়াসহ অন্য দেশ’গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার
বিষয়টি তালেবানের নীতির মধ্যেই পড়ে। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক অনেক পুরনো। রবি’বার কাবুলের মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের পর পা’কিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, দাস’ত্বের শেকল ভেঙেছে
আফগানিস্তান। তু’রস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, তার দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে আফগানিস্তানের স্থিতি’শীলতার জন্য কাজ করবে। এ ব্যাপারে যথাসাধ্য সব’কিছুই করা হবে। আফগানিস্তানের
স্থিতিশীলতা তুরস্কের জন্যও জ’রুরি বলে মন্তব্য করেন এরদোগান। কেননা, কাবুলের অস্থি’রতার ফলে বিপুল সংখ্যক আফগান নাগরিক ইরান হয়ে তুরস্কে
পাড়ি জমাচ্ছে। শরণা’র্থীদের এমন ঢেউ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।