টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন আগেই, এবার পেয়ে গেলেন ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব। সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ফেবারিট হওয়া সত্ত্বেও ভারতের শিরোপা জিততে না পারার কারণ অনুসন্ধান করলেন রোহিত শর্মা।
তিনি জানিয়েছেন, কেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত ভালো দল গড়েও বিশ্বকাপের মতো আসরে ভালো করতে পারেনি।২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত।
এরপর ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আর ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত শিরোপার দাবিদার হয়েও ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে দল বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনাল থেকেই।
২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফাইনালে হেরেছে পাকিস্তানের কাছে। রোহিত এর মূল কারণ হিসেবে জানিয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ের দুর্বলতার কথা। গত ৬ বছরে বিদায় নেওয়ার প্রতিটি ম্যাচেই মিডল অর্ডারের বাজে পারফরম্যান্সই ভারতকে ডুবিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল এবং ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে শুরুর দিকের বিপর্যয় সামলাতে পারেনি দলের মিডল অর্ডার।
অধিনায়ক হয়েই রোহিত বলেছেন, তিনি এমন এক মিডল অর্ডার চান, যারা যেকোনো অবস্থার জন্য তৈরি থাকবে, ‘আমি এমন একটা মিডল অর্ডার চাই, যারা ১০ রানে ৩ উইকেট পড়লেও লড়াই করবে। চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াবে।
আমাদের এখন এদিকটায় নজর দিতে হবে। ৩ থেকে ৬ নম্বরে যারা ব্যাটিং করবে, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। সত্যি কথা বলতে, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমাদের ব্যর্থতার মূল কারণই এটি। আমরা যে ম্যাচগুলোয় হেরেছি, সেগুলোতে শুরুর বিপর্যয় সামাল দিতে পারিনি।’
আইপিএলে দুর্দান্ত রেকর্ড রোহিত শর্মার। একাধিকবার নিজের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে জিতিয়েছেন শিরোপা। ঠিক এ জায়গায় পার্থক্য তৈরি হয়েছে তাঁর সঙ্গে বিরাট কোহলির। কোহলি টেস্টে সফল হলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতকে কিছুই দিতে পারেননি।
এমনকি আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে এনে দিতে পারেননি কোনো শিরোপা। রোহিত অধিনায়কত্বটা জানেন ভালোই, জানেন কীভাবে দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ভালো কিছু আদায় করে নিতে হয়।
রোহিত নিজে এটিকে কীভাবে দেখেন, জানিয়েছেন সেটিও, ‘অধিনায়ক হিসেবে একজনের কাজ খেলোয়াড়দের ভালোটা বের করে নিয়ে আসা। সঠিক জায়গায় সঠিক ক্রিকেটারকে বাছাই করা। আমি তো মনে করি, এটি করতে পারলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। দল ভেঙে পড়লেও সবার সঙ্গে থাকতে হয় অধিনায়ককে। অধিনায়কের আচরণ এমন হতে হবে, যেন মনে হয়, তিনি দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।
তাঁর উপস্থিতিটাই হতে হবে গুরুত্ববহ।’