আইপিএল শুরু হতে আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। আর এমন পরিস্থিতিতে পুরোদমে চলছে আইপিএলের প্রস্তুতি। কয়েকদিন পর, আইপিএল দলগুলো তাদের ধরে রাখা খেলোয়াড়দের তালিকা বিসিসিআই-এর কাছে পেশ করে।
তবে মেগা নিলাম এখনো হয়নি। তবে সম্প্রতি একটি খবর বেরিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে আইপিএলের পরের মরসুমের প্রথম মেগা নিলামের আগেও শ্রেয়াস আইয়ার, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো আরও কিছু খেলোয়াড় অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন।
আর এই অসুবিধার নাম আহমেদাবাদের দল। আর এই ঝামেলা এড়াতে আহমেদাবাদ দলের কন্ডিশন বুঝতে হবে। কারণ এই সময়ে আমেদাবাদের দল অনেক অসুবিধায় ঘেরা। আসলে, আহমেদাবাদ টিমের জন্য টেন্ডার পেয়েছিল CVC ক্যাপিটাল। কিন্তু এখনও অবধি বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিপ্রায়ের চিঠি পেশ করা হয়নি। আর এই চিঠির কারণে দলের আইপিএলের পরবর্তী প্রস্তুতি স্থবির হয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি এমন যে নতুন আইপিএল দল লখনউ এবং আহমেদাবাদকে মেগা নিলামের আগে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের ৩ জন খেলোয়াড়ের তালিকা হস্তান্তর করতে হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারির শুরুতেই মেগা নিলামের কর্মসূচি হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
কিন্তু লেটার অব ইনটেন্টের কারণে এখন এই তারিখ পরিবর্তন করে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছে। আর এই তারিখ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর মেগা নিলামের তারিখ জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে দুই দলকেই এত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বিসিসিআইতে। যে কোনও খেলোয়াড়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি একটি চুক্তির কথা বলতে পারেন।
তবে এর বাইরে খেলোয়াড় লিখিত চুক্তি বা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে না। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আহমেদাবাদ টিম সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত। শ্রেয়াস আইয়ার, হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিড ওয়ার্নার, কুইন্টন ডি কক, ক্রুণাল পান্ডিয়ার সঙ্গে আহমেদাবাদের দল প্রায় চূড়ান্ত কথা বলেছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
এর মধ্যে তিনজন খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ হবেন। এর মধ্যে শ্রেয়াস আইয়ার ও হার্দিক পান্ডিয়ার নামও উল্লেখযোগ্য। শ্রেয়াস আইয়ারকেও অধিনায়কত্ব দেওয়া হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে এই খবরও বেরিয়েছে, শ্রেয়াস আইয়ারকে অধিনায়কত্বের সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
কিন্তু এই খেলোয়াড়দের সামনে একটা সমস্যা আছে, আহমেদবার দলকে লেটার অব ইনটেন্ট না দিলে দলের পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এই চিঠি না পেলে দলটি আইপিএলের অংশ হতে পারবে না। কাকে লেটার অব ইনটেন্ট এখনো দেওয়া হয়নি।
আসলে এই অভিযোগ উঠেছে এই দলের ওপর। সিভিসি ক্যাপিটালের বিনিয়োগ একটি বিদেশী কোম্পানিতে যুক্ত। যা একটি বিডিং কোম্পানি। মানে বেটিং কোম্পানি। আর ভারতে বাজি ধরা নিষিদ্ধ।