কোচ হিসাবে ভারতীয় দলের সঙ্গে মোট দুই দফায় তাঁর টানা পাঁচ বছরের কেরিয়ার শেষ হয়েছে সম্প্রতি। টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার সঙ্গেই ৫৯ বছরের মুম্বইকরের সঙ্গে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক করে নেয় বিসিসিআই (BCCI)।
এখন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের দায়িত্বে রাহুল দ্রাবিড়। তবে শাস্ত্রী তাঁর কোচিং কেরিয়ারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আচরণে রীতিমতো আহত হয়েছেন। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে বিস্ফোরক মেজাজে পাওয়া গেল কোহলিদের প্রাক্তন হেডস্যারকে।
শাস্ত্রী বলেন,” আমাকে আমার ব্রডকাস্টিংয়ের কেরিয়ার ও বাকি সব কিছু ভুলে গিয়ে ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হতে বলা হয়েছিল। আমি বীজ বপন করে ফল উৎপাদন করে দেখাতে শুরু করেছিলাম। আচমকাই দেখলাম আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল।
কেউ কিছু বলল না পর্যন্ত! আমি অত্যন্ত আঘাত পেয়েছিলাম। যেভাবে বিষয়টা করা হয়েছিল। যেভাবে আমি দলে অবদান রেখেছিলাম তাতে করে বিসিসিআই আমাকে অন্য ভাবেও বলতে পারত যে, দলে আমার আর প্রয়োজন নেই।
তাদের অন্য কাউকে প্রয়োজন। আমি আবার টেলিভিশনে ফিরে যাই। যেটা আমি সবচেয়ে ভাল পারি। দল ছাড়ার ৯ মাস পরেও বুঝতে পারিনি যে, দলে কোনও সমস্যা রয়েছে।
আমাকে বলা হল দলে একটা গুরুতর সমস্য়া হয়েছে। আমি ভাবলাম এত সুন্দর একটা টিমের কী সমস্যা হতে পারে। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে এতটা খারাপ কী করে সম্ভব! আমি দ্বিতীয় পর্যায় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলাম বিরাট একটা বিতর্কের পরেই।
যারা আমাকে দূরে রাখতে চেয়েছিল, তাদের মুখে ডিম ছুড়ে মারতে পেরেছিলাম বলেই মনে হয়েছিল। আমাকে ৯ মাস পরখ করার পর বিসিসিআই আমাকে ছুড়ে ফেলেছিল। আবার তারা আমার কাছেই এসেছিল।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিসিসিআই-এর কারোর নাম বলতে চাই না। তবে আমি যাতে চাকরিটা না পাই, তার জন্য় অবশ্যই অনেকে চেষ্টা করেছিল। তবে এটাই জীবন।”
২০১৬ সালে বিসিসিআই হেড কোচ হিসাবে অনিল কুম্বলকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিরাটের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় কুম্বলে দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। ২০১৭-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই ছিল তাঁর শেষ অ্যাসাইনমেন্ট।
এরপর সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় ও ভিভিএস লক্ষ্মণের তৎকালীন ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি ওরফে সিএসি শাস্ত্রীকেই কোচ করে নিয়ে আসে।