বিশ্বকাপের দলে নিজের জায়গা করে নেওয়ায় ছিল আমার প্রধান লক্ষ্য, জানালেন কাম ব্যাক অলরাউন্ডার জাদেজা

চোটের কারণে গত বছরের টি-২০ বিশ্বকাপেও খেলা হয়নি রবীন্দ্র জাদেজার। চোট সারিয়ে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাট দিয়েই প্রত্যাবর্তন হয়েছে তাঁর। টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পরেই ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। ১৭ মার্চ ওয়াংখেড়েতে প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এই ম্যাচের মধ্যে দিয়েই দীর্ঘ আট মাস বাদে ওয়ানডে ফর্ম্যাটে ফিরেছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৩৫.৪ ওভারে ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন মিচেল মার্শ। বল হাতে জাদেজা নেন দুটি উইকেট। ৪৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি। পাশাপাশি অনবদ্য একটি ক্যাচ লুফে প্যাভিলিয়নে ফেরান মার্নাস ল্যাবুশানকে। বিপদজনক হয়ে ওঠা মিচেল মার্শ এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করেন তিনি। ব্যাট হাতেও অপরাজিত ১০৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন কেএল রাহুলের সঙ্গে। অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস খেলে ভারতের হয়ে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

যে কোনও ক্রিকেটারের পক্ষেই কামব্যাক মোটেও সহজ নয়। তবে কামব্যাকেই বল এবং ব্যাট হাতে কামাল করে দেখিয়েছেন জাদেজা। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করেই ম্যাচ জিতেছে ভারত। ম্যাচ শেষে জাদেজার গলাতেও ধরা পড়ল কামব্যাকের কথা। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ৮ মাস বাদে ওয়ানডে খেলছি। তাই ফর্ম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেয়েছিলাম দ্রুত। সেটাই ছিল লক্ষ্য।

জাদেজা জানিয়েছেন, ‘আট মাস বাদে ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলছি। আমার লক্ষ্য ছিল ফর্ম্যাটের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নেওয়া। সৌভাগ্যবশত আমি দুটি উইকেট পেয়েছি। ব্যাট হাতে আমার একটাই লক্ষ্য ছিল তা হল কেএলের (রাহুলের) সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়া। আমি এতদিন টেস্ট ক্রিকেট খেলছিলাম। কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেটে লাইন এবং লেন্থ সম্পূর্ণ আলাদা। ওয়ানডেতে একটা নির্দিষ্ট পেসে বোলিং করা যায় না সবসময়ে। পরিবর্তন করতে হয় মাঝেমাঝে। আমার লক্ষ্য ছিল ভালো এরিয়াতে বলটা করা। পাশাপাশি এদিন আমার বল অল্প অল্প করে স্পিনও করছিল। আর সেই কারণেই আমি মনে করেছিলাম ভালো এরিয়াতে বল করাটা জরুরি। বাকি কাজটা ২২ গজ আমার হয়ে করে দিয়েছে।’

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.