চলতি ভারত-নিউজিল্যান্ড কানপুর টেস্টে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখিয়ে নিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার । গত শুক্রবার ১৬ তম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে জীবনের অভিষেক টেস্টে শতরান (১০৫) হাঁকিয়ে ছিলেন আইয়ার।
এবার প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে তিনি জীবনের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরির পর পেলেন ফিফটি প্লাস ইনিংস (৬৫)! ম্যাচের পর আইয়ার বলছেন যে, দলের হেডস্যার রাহুল দ্রাবিড়ের পরামর্শেই কানপুরে কীর্তি স্থাপন করেছেন তিনি।
হাতে ৯ উইকেট নিয়ে কানপুরে রবিবার খেলা শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু মধ্যাহ্ণ ভোজের বিরতিতেই ভারত ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে দেয়। অজিঙ্কা রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা ও রবীন্দ্র জাদেজার মতো তারকারা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজটা করেন আইয়ার ও ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁরা জুটি বেঁধে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতের লিড ২০০-র ওপর নিয়ে যান। আইয়ার এদিন ৬৫ রান করে আউট হন।
সাউদির বলে ব্লানডেলের হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি। ম্যাচের পর চলতি ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজের সম্প্রচারকারী টিভি চ্য়ানেলে আইয়ার বলেন, “এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আগেও গিয়েছি। তবে ভারতীয় দলের হয়ে খেলার সময় নয়। রঞ্জিতে এমনটা হয়েছিল। আমার মাথার মধ্যে ছিল যত বেশি বল খেলা যায়। এর বেশি কিছু ভাবিনি। শুধু বর্তমান পরিস্থিতিই ফোকাসে ছিল।”
কানপুরে প্রথম ভারতীয় হিসাবে অনন্য কীর্তির প্রসঙ্গে আইয়ার বলেন, “আমি যখন ফিরে আসি ড্রেসিংরুমে তখন আমার এক সতীর্থ বলে রেকর্ডের কথাটা। সে জানায় যে, এর আগে অনেকেই এমনটা করেছেন। তবে প্রথম ভারতীয় হিসাবে আমি করেছি। ভাল লাগছে। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার ম্যাচ জেতা। রাহুল স্যার আমায় বলেছিলেন যত বেশি বল পারি যেন খেলি।
আমি সেটা করার জন্যই বদ্ধপরিকর ছিলাম।”পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশম ব্যাটার হিসাবে আইয়ার অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির পর হাফ-সেঞ্চুরির মাইলস্টোন স্থাপন করেছেন। সুনীল গাভাস্কর ও দিলওয়ার হুসেইনের পর তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে আইয়ার অভিষেক টেস্টে ব্যাক-টু-ব্যাক ‘ফিফটি-প্লাস’ (পঞ্চাশের বেশি) স্কোর করলেন।
কানপুরে বিরাট কোহলি খেলছেন না। তাঁর বদলে আইয়ারের জায়গা হয়েছে প্রথম একাদশে। জীবনের অভিষেক টেস্টে তিনি ১৭০ করলেন। মুম্বইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে। সেই টেস্টে দলে ফিরছেন কোহলি। এখন দেখার আইয়ারের মুম্বই টেস্টে দলে জায়গা হয় কিনা!