ঢাকাই চলচ্চিত্রে এ সময়ের আ’লোচিত অ’ভিনেত্রী পরীমনি। এক সময়ে টাকার অভাবে প্রাইভেট পড়তে পারেননি তিনি। তারপরও পঞ্চ’ম শ্রেণিতে পেয়েছিলেন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। ছা’ত্রী হিসেবে অ’ত্যন্ত মেধাবী ছিলেন বলেই জানিয়েছে সূত্র।
জানা গেছে, ছোটবেলায় মা মা’রা যাওয়ায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজে’লার সিংখালী গ্রামের নানা বাড়িতে বড় হয়েছেন পরীমনি। তার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন কে’টেছে নানা বাড়িতেই। মাধ্যমিকে লেখাপড়া করেছেন ভগিরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
স্থানীয় একজন ইউপি মেম্বার জানান, পরীমনি এক সময়ে টাকার অভাবে কোনো প্রাইভেট পড়তে পারেননি। তারপরও তিনি ভগিরাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চ’ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। সেখান থেকে ২০১১ সালে এসএসসি পাশ করেন।
পরে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তি হলেও বরিশালে থাকা খালাতো ভাই ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। সেখানে ২ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর তাদের বিচ্ছেদ হয়।
স্থানীয়রা জানান, উচ্ছৃঙ্খল জীবনের কারণে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে ডিভোর্স হয় পরীমনির। তবে অ’ভিনেত্রীর স্বজনদের দাবি, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁ’সানো হয়েছে পরীমনিকে।
একটি সূত্র জানায়, অভাবের সংসারে জীবিকার টানে ঢাকা ছুটে এসেছিলেন পরীমনি। পরে তিনি চিত্রজগতে প্রবেশ করেন।
উল্লেখ্য, নব্বই এর দশকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজে’লার ভগিরথপুর পু’লিশ ফাঁড়িতে কর্ম’রত ছিলেন মনিরুল ইস’লাম নামের এক কনস্টেবল। তার বাড়ি ছিল নড়াইল জে’লার কালিয়া উপজে’লার সালাবাদ ইউনিয়নের বাকা গ্রামে। দেখতে সুদর্শন হওয়ায় তিনি সহ’জেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেলতে পারতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী সিংখালী গ্রামের বাসিন্দা সামছুল হক গাজীর বড় মে’য়ে সালমা সুলতানার সঙ্গে মনিরুলের প্রে’মের স’ম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এই সুলতানা-মনিরুল দম্পতির পরিবারের জন্ম হয় শামছুন্নাহার স্মৃ’তির। যিনি এখন পরীমনি নামে পরিচিত।