একটা সময় ছিল হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া ভারতের লিমিটেড ওভার ক্রিকেট ভাবাই যেত না। দুরন্ত ইনিংস খেলতেন হার্দিক। মনে হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের যোগ্য অলরাউন্ডার অনেকদিন সার্ভিস দেবেন। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর সেই ধার হারিয়েছেন পান্ডিয়া। ব্যাটিং করলেও আগের ফর্ম নেই। বড় শট খেলতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কোমর ঘুরছে না। আর বল করা তো ছেড়ে দিয়েছেন।
কিন্তু একজন অলরাউন্ডার যখন, তখন তার কাছ থেকে দুটো ভূমিকাই আশা করে দল। কিন্তু জাতীয় দল বা আইপিএল কোথাও বোলার হার্দিককে পাওয়া যাচ্ছে না। যার জন্য তাকে রিলিজ করে দিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ানস। ভারতীয় ক্রিকেট দলও হার্দিক পান্ডিয়ার যোগ্য পরিবর্তন খোঁজ করছে। শার্দুল ঠাকুর, অক্ষর প্যাটেলদের নাম উঠে এলেও, এদের দুজনেই টেস্ট ক্রিকেটে রান করলেও, সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান হিসেবে নজর কাড়তে পারেননি।
কিন্তু কেকেআর ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ার বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। নির্বাচকদের নজর কাড়েন মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বল হাতেও উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেক হয় তার। বুঝিয়ে দেন সুযোগ পেলে হতাশ করবেন না। সুনীল গাভাসকার, ভিভিএস লক্ষ্মণদের মত তারকারা এই ছেলের ক্রিকেট দেখে প্রশংসা করেছেন।
বিজয় হাজারেতে ইতিমধ্যেই দুটি শতরান হয়ে গিয়েছে। পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। দীর্ঘকায় চেহারা। হাতে যেমন শট আছে, তেমনই বুদ্ধি করে বল করতে পারেন। শুধু একটু গতি বাড়াতে পারলে কমপ্লিট বোলার হয়ে উঠতে পারেন। এবছর কেকেআর তাকে ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৮ কোটি টাকায় ধরে রেখেছে। সেটা যে ভুল সিদ্ধান্ত নয়, প্রমাণ করে চলেছেন ভেঙ্কটেশ।
চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হয়েও পেশাদার ক্রিকেটকে বেছে নিয়ে তিনি যে ভুল করেননি, সেটা প্রমাণ করেছেন কেকেআর তারকা। রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড় হার্দিক পান্ডিয়ার পরিবর্ত হিসেবে ভেঙ্কটেশকে তুলে আনতে চাইছেন সেটা পরিষ্কার। ছেলেটার সবচেয়ে বড় গুণ শেখার ইচ্ছে আছে। পরিশ্রম করতে জানেন। আনন্দে যেমন গা ভাসিয়ে দেন না, তেমনই ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েন না। সঠিক মানসিকতা। এটাই তার প্লাস পয়েন্ট।