ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পরীর বাসায় অভিযান শুরু হয়। অভিযানে অংশ নিয়েছে র্যাব-১ ও র্যাব সদর দফতরের একাধিক টিম। অভিযানটি এখনো চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরীমনিকে আটকের খবর পেয়ে তার বাসার সামনে ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
করোনা পরিস্থিতিতে এমন উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে তাই পরীমনির বাসার সামনে মাইকিং করছে বনানী সোসাইটি। সেখানে ছিলেন মো. এমদাদুল হক। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনায়।
দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে টানাপোড়নের সংসার। জীবিকা নির্বাহ করতে তাই মাস্ক বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি।
প্রতিদিন তার টার্গেট থাকে কমপক্ষে ২০০ মাস্ক বিক্রি করা। আজ বুধবার সারাদিন বনানীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ঘুরে মাস্ক বিক্রি করেছেন তিনি।
কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার বিক্রি না হওয়ায় হতাশায় ছিলেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একটি ক্যান্টিনের টিভিতে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটকের খবর পান এমদাদুল।
টেলিভিশনের সংবাদ প্রতিবেদনে দেখেন নায়িকার বাসার সামনেই ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
সংবাদ দেখেই মাস্কের ব্যাগ হাতে নিয়ে চলে যান পরীর বাসার সামনে। পরের ৩০ মিনিটে বিক্রি হয়ে যায় এমদাদুলের ২০০ এর বেশী মাস্ক।
পরে স্ত্রীর মাধ্যমে বাসা থেকে আরো কিছু মাস্ক আনান এমদাদুল। সেগুলোও বিক্রি করছেন সুযোগ বুঝে। এতেই মাত্র ৩০ মিনিটেই ৫০০ টাকার বেশী আয় করেন এমদাদ।
এদিকে, র্যাবের পক্ষ থেকে পরিমনিকে আটকের কথা বলা হলেও এখনো বাসা থেকে বের করা হয়নি তাকে।
তবে, জানা গেছে পরীমনিকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হবে কিছুক্ষণের মধ্যে। র্যাবের বেশির ভাগ সদস্য নায়িকার অ্যাপার্টমেন্টের গ্যারেজে অবস্থান করছেন।
পরীর ফ্ল্যাটের মূল দরজা লাগিয়ে দিয়ে ভেতর থেকে বাইরে বা বাইরে থেকে ভেতরে কাউকেই যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না।