মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় একটি রো রো ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের ওই ফেরিটি সোমবার সন্ধ্যায় পিলারে ধাক্কা দেয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের ম্যানেজার শাফায়েত আহমেদ বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে পদ্মা সেতুর পিলারে রো রো ফেরি শাহ’জালালের ধাক্কা লাগার ঘটনায় ত’দন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। প্রতিবেদনে ফেরির দুই চালককে (মাস্টার ও সুকানি) দায়ী করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তেল খরচ কমাতে সংক্ষিপ্ত পথে চলতে গিয়ে পদ্মা সেতুতে আ’ঘাত করে রো রো ফেরি শাহ’জালাল। স্রোতের অনুকূলে কম গতিতে চালাতে (২৫০ আরপিএম) গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় ফেরিটি। অথচ স্রোতের বিপরীতে কিছুটা উপরের দিকে চালিয়ে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ফাঁক দিয়ে নদী পাড়ি দিলে এ ঘটনা এড়াতে পারতেন ফেরির দুই চালক (মাস্টার ও সুকানি)। সেক্ষেত্রে পথটি দীর্ঘ হতো এবং গতিও বাড়াতে হতো। এতে তেল খরচ হতো বেশি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল তেল বাঁচিয়ে তা বাইরে বিক্রি করে দেয়া।
ফেরির আ’ঘাতে সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের ক্যাপে কিছুটা স্ক্যাচ পড়েছে। আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবি ফেরিটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ডকইয়ার্ডে নিয়ে মেরামতের আগে এটি চলাচল করতে পারবে না।
এদিকে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে কৌশল নেন ফেরির দুই চালক ও অন্যান্য স্টাফরা। সেতুতে আ’ঘাত দেয়ার আগে স্টিয়ারিং কাজ করছিল না বলে ত’দন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে দাবি করেন তারা। যদিও ত’দন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে স্টিয়ারিং ভালো পাওয়া গেছে। তবে তারা ধীরগতিতে চালানোর কথা স্বীকার করেছে।
শাহ’জালাল ফেরির চালক (মাস্টার) আব্দুর রহমান খাঁনকে শনিবার পু’লিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এদিন মাদারীপুর সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে তার ডোপ টেস্ট ও শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি মা’দকাসক্ত নয় বলে সূত্র জানিয়েছে।