ভারতের ৩৪৫ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৯৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত।
ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে টিম ইন্ডিয়া। এবার ভারতের সমানে চ্যালেঞ্জ টেস্টের আঙিনায় কিউয়িদের টেক্কা দেওয়ার। কোহলি, রোহিত, লোকেশ রাহুলের মতো প্রথমসারির সিনিয়র তারকাদের ছাড়াই কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের লড়াইয়ে নামে ভারতীয় দল। স্বাভাবিকভাবেই অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বাধীন তরুণ ভারতীয় দলের পক্ষে কাজটা মোটেও সহজ হবে না নিশ্চিত। নিউজিল্যান্ড যদিও দলে পাচ্ছে না ট্রেন্ট বোল্ট ও ডেভন কনওয়ের মতো তারকাদের।
উইল ইয়্ং-কে ফেরালেন অশ্বিন। প্রথম উইকেট পড়ল নিউজিল্যান্ডের। তবে এই আউট নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আদৌ এটি এলবিডব্লিউ ছিল কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আউটের জন্য অশ্বিন অ্য়াপিল করেন। ফিল্ড আম্পায়ার আউটও দিয়ে দেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, বল উইকেট লাগছিল না, পাশ দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। তবে রিভিউ নিতে দেরী করায় আউট হয়ে যান উইল ইয়াং। ৩ ওভারে ৩ রানে ১ উইকেট নিউজিল্যান্ডের।
আগের ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার দুরন্ত ছন্দে জুটিতে ১৫১ রান করেছিলেন। তারাই ভরসা জুগিয়েছিলেন কিউয়িদের। এ বার এই ওপেনার জুটিকে ভাঙতে মরিয়া ভারত। আঝ যদি ভারত এই ওপেনার জুটিকে ফেলে দিতে পারে, তবে টেস্ট জয়ের দিকে তারা এক পা বাড়িয়ে রাখবে।
দেশের মাটিতে ১৯৮৭ সালের পর ২৭৫-এর রানের বেশি লিড দিয়ে ভারত কখনও হারেনি
শেষ বার ১৯৮৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৭৫ রান তাড়া করে টেস্ট জিতে গিয়েছিল। তার পর থেকে ভারত দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে ২৭৫-এর বেশি লিড নিয়ে কখনও হারেনি। এই পরিসংখ্যানই এখন ভারতের বড় ভরসার জায়গা।
২৩৪ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করল ভারত। ভারতের মোট স্কোর হল ২৮৩। নিউজিল্যান্ডের হাতে সোমবার পুরো দিনটা রয়েছে। সঙ্গে আজও তারা কিছুটা সময় পাবে। এদিকে বারত চাইবে চতুর্থ দিনের শেষেই উইকেট ফেলে কিউয়িদের চাপে রাখতে।