টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর আসন্ন বিশ্বকাপগুলিতে যেন এমন অবস্থা পুনরায় না হয়. তার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে বিসিসিআই। বদলেছে অধিনায়ক, বিরাটের বদলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের দায়ভার চেপেছে রোহিত শর্মার কাঁধে। সেই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই দুই তরুণ ক্রিকেটারকে সত্বর ভারতীয় দলে দেখতে চান প্রাক্তন তারকা সাবা করিম।
বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে ফিনিশারের অভাবে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে টিম ম্যানেজেমন্ট। দলে হার্দিক পান্ডিয়ার বিকল্প না থাকায় হাফফিট হার্দিক দিয়েই কাজ চালাতে চেয়ে ডাহা ফ্লপ ভারতীয় নির্বাচকদের পরিকল্পনা। তাই পান্ডিয়ার বদলে ঠিক বিশ্বকাপের পরের সফরেই দলে ঢুকেছেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। পান্ডিয়ার জঘন্য ব্যাটিং ফর্ম এবং বোলিং না করার ফলে দ্রুত যেমন স্টক নামছে, ঠিক ততটাই গতিতে বিগত কয়েক মাসে উর্ধ্বমুখী বেঙ্কটেশের মার্কেট ভ্যালু।
আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে স্বপ্নের দৌড় তাঁকে ভারতীয় দলে পৌঁছে দেয়। চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতেই রমরমিয়ে চলছে বেঙ্কটেশ জাদু। চার ম্যাচে দুই শতরানসহ টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪৮ রান করেছেন কেকেআর তারকা। পাশপাশি বল হাতেও রয়েছে আট উইকেট। অপরদিকে, আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ উইনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়ও কম যান না। বেঙ্কটেশের থেকে একমাত্র তিনিই বিজয় হাজারেতে অধিক (৪৩৫) রান করেছেন। রয়েছে নাগাড়ে তিনটি শতরানও। বিশ্বকাপের জন্য টিম ইন্ডিয়াকে এই দুই তরুণকেই তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবা করিম।
Khelneeti podcast-এ প্রাক্তন ভারতীয় উইকেটরক্ষক বলেন, ‘আমার মতে বেঙ্কটেশ আইয়ার এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড় সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের প্রথম দলে প্রায় প্রবেশ করেই গিয়েছে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের (৫০ ওভারের) কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হলে এই দুই খেলোয়াড়কে যত দ্রুত সম্ভব স্কোয়াডে সুযোগ দেওয়া উচিত। ওদের যথাসম্ভব সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন।’
আইপিএল খ্যাত দুই তরুণ তারকা দক্ষতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সাবা আরও জানান, ‘দুইজনেই দলে ভিন্ন ধরনের ভারসাম্য প্রদান করে। গায়কোয়াড় ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা এবং লোকেশ রাহুলের ব্যাক আপ ওপেনার হতে পারেন। অপরদিকে, আইয়ার বিজয় হাজারেতে পাঁচ বা ছয় নম্বরে বেশ ভাল ব্যাটিং করেছে। যদি আমরা হার্দিক পান্ডিয়ার পরিবর্ত খুঁজি, তাহলে বলব তা আমরা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছি।’ সাবা ইচ্ছা শীঘ্রই পূরণ হতে পারে। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বেঙ্কটেশ এবং রুতুরাজ, দুইজনেই জাতীয় দলে সুযোগ পেতে চলেছেন বলেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। আদপে তা কতটা সত্যি, সেটা সময়ই বলবে।