চূড়ান্ত অফ ফর্মে থাকা সত্ত্বেও টি২০ বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়াকে। তবে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন তারকা। সমস্ত ম্যাচে চার ওভারের কোটায় বোলিং করানোর কথা থাকলেও, গোটা টুর্নামেন্টে মাত্র ৪ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন তারকা।
ফর্মের একদম ধারেকাছে নেই হার্দিক পান্ডিয়া। সেই কারণে জাতীয় নির্বাচকদের কাছে অদ্ভুত আবদার করে বসলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
কোভিড পরবর্তী সময়ে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসাবেই মূলত খেলছিলেন তিনি। ২০১৯-এ পিঠে অস্ত্রোপচারের পরে বল হাতে তোলা ভুলেই গিয়েছেন। টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে ব্যর্থতার পরে হার্দিককে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এমন অবস্থায়, হার্দিক পান্ডিয়া নাকি নিজেই আপাতত নির্বাচকদের আর্জি জানিয়েছেন, আসন্ন ভারতের আন্তর্জাতিক ম্যাচে যাতে তাঁকে না নেওয়া হয়। তিনি ফিটনেসের ওপর ফোকাস করছেন। পুরোপুরি ফিট হয়েই জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করতে চান। এমনটাই জানানো হয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে।
২৮ বছরের তারকা অলরাউন্ডার হিসাবে জাতীয় দলে নিয়মিত হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি টেস্ট দলেও তাঁকে ভাবা হচ্ছিল নিয়মিত হিসাবে। তবে ফিটনেস ইস্যুতে ২০১৮-র পরে বাদ পড়েন টেস্ট দল থেকে। গত বছর অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন স্পেশ্যালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে।
সামনেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। পান্ডিয়ার এমন আর্জির প্রেক্ষিতে তাঁকে হয়ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য বিবেচনা করা হবে না। হার্দিকের বদলে শিকে ছিঁড়তে পারে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের।
এদিকে, একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় দল শুধু নয়, আইপিএলেও হার্দিক বেনজির সমস্যার মুখে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সম্ভবত হার্দিককে রিটেন করবে না খারাপ ফর্মের কারণে।
তবে হার্দিককে রিলিজ করার কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করলে তারকাকে পেতে ঝাঁপাতে পারে দুই নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি- লখনৌ এবং আহমেদাবাদ। নিলামের আগেই তিনজন করে ক্রিকেটারকে সই করানোর অপশন রয়েছে দুই নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে।