টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে ক্রিকেটেও ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন রোহিত শর্মা। দায়িত্ব পেয়েই দল নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা জানালেন তারকা ব্যাটসম্যান রোহিত। দলের মধ্যে কোথায় ঘাটতি আছে, সেই ঘাটতি পূরণে কোথায় ভারসাম্য আনার দরকার, সেসব নিয়ে কথা বলেছেন রোহিত।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজই হবে রোহিতের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিনটি করে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলবে ভারত। সফরে ওয়ানডে দল নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান রোহিত।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল বা ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারতের হারের পেছনে প্রধান কারন মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা। কারন ওপেনাররা দ্রুত ফিরে যাওয়ায় চাপে পড়ে খেই হারিয়েছে ভারতের মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা। সেই দিকেই নজর নতুন অধিনায়কের। ঘাটতির জায়গাটা পূরণ করে সাফল্যে চোখ রোহিতের।
রোহিত বলেন, ‘খারাপ সময়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে। ১০ রানে ৩ উইকেট চলে গেলে সেখান থেকে কিভাবে ফিরে আসা যায়, সেই দিকে নজর দিতে হবে। ৩ থেকে ৬ নম্বরে যারা ব্যাট করবে তাদের এটা মাথায় রাখতে হবে। কোথাও লেখা নেই যে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০ রানে ২ বা ৩ উইকেট চলে গেলে ১৮০-১৯০ রান করা যাবে না।’
আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে পাঁচবার শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দেয়া রোহিত আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অস্থায়ীভাবে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন । এবার পাকাপাকিভাবে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে রোহিত বলেন, ‘অধিনায়কের কাজ সঠিক ক্রিকেটারকে খেলানো।
ঠিক জায়গায় ঠিক ক্রিকেটারকে খেলাতে পারলেই কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে হবে, সেই সাথে দল ভেঙে পড়লে পেছনেও থাকতে হবে অধিনায়ককে। সবার পেছনে থাকা মানে সকলের জন্য হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। দলের সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে হবে অধিনায়ককে।’
দীর্ঘদিন ধরেই কোহলির সাথে খেলছেন রোহিত। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডের দায়িত্বও কোহলির কাছ থেকে পেলেন রোহিত। তাই সাদা বলের ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক কোহলির প্রশংসা করতে ভুল করেননি রোহিত।
তিনি বলেন, ‘কোহলির মতো একজন ব্যাটারকে সব সময় দলের প্রয়োজন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০-এর উপর গড় মানে- সে একজন অসাধারন ও দুর্দান্ত ব্যাটার। সেই সাথে তার অভিজ্ঞতাও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমন একজন ক্রিকেটার অবশ্যই দলের নেতা। তাকে বাদ দেয়ার কথা ভাবাই যাবে না। সে থাকলে, দল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে।’