গৌতম ভট্টাচার্য: বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় , এবং ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সম্পর্ক ইদানিং সংবাদের শিরোনামে। ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তে যাবতীয় আলোচনা, যাবতীয় বিতর্ক সবটাই এই দুই ব্যক্তির ‘ঝগড়া’কে কেন্দ্র করে। সৌরভ এবার প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিলেন, কোহলি আজকাল ‘বড্ড ঝগড়া’ করেন। তবে, সেটা রসিকতার সুরে।
শনিবার গুরুগ্রামে এক অনুষ্ঠানে সৌরভকে নাকি বলতে শোনা গিয়েছে, “বিরাট কোহলির অ্যাটিটিউড আমার ভাল লাগে, কিন্তু ও ঝগরা করে।” বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোন ক্রিকেটারের অ্যাটিটিউড তাঁর ভাল লাগে? সেই প্রশ্নের ই নাকি একথা বলেছেন সৌরভ।
ওই অনুষ্ঠানেই বোর্ড প্রেসিডেন্টকে রসিকতা করে বলতে শোনা গিয়েছে,”এই মুহূর্তে তাঁর জীবনে চাপ বলে কিছু নেই। বউ আর প্রেমিকা ছাড়া জীবনে কেউ চাপ দেয় না।”
বস্তুত, বিরাট কোহলির বিস্ফোরক সাংবাদিক সম্মেলনের পর থেকেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়ার জন্য মুখিয়ে আছে ক্রিকেট মহল। কিন্তু বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এখনও সেভাবে কিছুই বলেননি। তাঁর একটাই বক্তব্য, বিসিসিআই সময়মতো যা পদক্ষেপ করার করবে। অকারণ কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।
বারবার হত্যে দিয়ে পড়ে থেকেও সৌরভের মুখ থেকে আর কিছুই বের করতে পারেননি দেশের তাবড় সাংবাদিককুল। এর মধ্যে কোহলির ‘ঝগড়া’ নিয়ে সৌরভের করা মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে দেশের ক্রিকেট মহল।
[আরও পড়ুন: ‘হাবাস দারুণ কোচ নয়’, সদ্যপ্রাক্তন সবুজ-মেরুন কোচের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন সুব্রত ভট্টাচার্যের]
দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বোমা ফাটান ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক কোহলি। বলে দেন, টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব না ছাড়তে তাঁকে কেউ বারণ করেনি। এমনকী মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে জানানো হয়েছিল যে তিনি আর ওয়ানডে অধিনায়ক থাকছেন না।
বিরাটের এসব দাবি অবশ্য পরমুহূর্তেই নাকচ করে দেন বোর্ডের এক আধিকারিক। বলে দেওয়া হয়, সেপ্টেম্বরেই বিরাটকে টি-২০ অধিনায়কত্ব না ছাড়তে অনুরোধ করা হয়েছিল। পাশাপাশি ওই আধিকারিক এও স্পষ্ট করে দেন, নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা দল নির্বাচনের বৈঠকের দিন সকালেই কোহলিকে জানিয়ে দেন, যে তিনি আর অধিনায়ক থাকছেন না। এসব নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে দেশের ক্রিকেট মহলে।